২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বের জন্য নির্বাচিত দেশের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আরও দুইটি। এর মধ্যে একটি হল নামিবিয়া, যা আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এই বৈশ্বিক ক্রিকেটের নিয়মিত আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছে। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে ইতিমধ্যেই কোয়ালিফাই করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, এবং এবার জিম্বাবুয়ে যোগ দিয়েছে এই তালিকায়। যদিও টেস্ট ক্রিকেটে শক্তিশালী হলেও, জিম্বাবুয়ে শেষবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি মূলত বাছাইপর্বে পরাজয়ের কারণে। এবার তারা আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের সেমিফাইনালে কেনিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণ করেছে। এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ১৭তম দেশ হিসেবে তারা বিশ্বকাপের মূলপর্বের জন্য যোগ্যতা অর্জন করল। এখন আরও তিনটি দেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাছাইপর্বের জন্য অপেক্ষা করছে; এই বিতর্কের জন্য আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, উইস্ট ইন্ডিজ, আমেরিকা, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও নামিবিয়া রয়েছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো ৮ অক্টোবর থেকে ওমানের বিভিন্ন ভেন্যুতে শুরু হবে। এই পর্বে জাপান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ওমান, পাপুয়া নিউগিনি, কাতার, সামোয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে চূড়ান্ত লড়াই হবে। আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য অর্থনৈতিক স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে সরাসরি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই দুটি দেশ ছাড়াও, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও ইতালি টিকিট পেয়েছে। এই বিশ্বকাপটি অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে, যেখানে ভারতের পাঁচটি ভেন্যু এবং শ্রীলঙ্কার অন্তত দুটো ভেন্যু ব্যবহার হবে। ফাইনালের স্থান নির্ভর করছে পাকিস্তানের ফলাফলের উপর। যদি পাকিস্তান ফাইনালে উঠে, তাহলে শিরোপা ম্যাচটি কলম্বোতে হবে। কারণ পাকিস্তান আগামী তিন বছরে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ বা বড় কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেবে না। যদি পাকিস্তান আগে বিদায় নেয়, তাহলে ফাইনাল হবে আহমেদাবাদে। ২০ দল নিয়ে চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এই চোখ ধাধানো টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক গ্রুপের দুটি দল পরবর্তীতে সেরা এগারোতে উঠবে, যেখানে তারা একে অপরের মুখোমুখি হবে। মোট ৫৫টি ম্যাচ এই বিশ্বকাপে চলবে, যার মধ্যে সেমিফাইনালের জন্য চারটি দল নির্বাচন করা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ আসর শুরু হতে চলেছে আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি, শেষ হবে ৮ মার্চ। এই তথ্য শুধুমাত্র ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের জন্য নয়, ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এক অনন্য মুহূর্তের সূচনা।