সেনাবাহিনীর সদস্যদের দায়মুক্তি সম্পর্কিত সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের দেওয়া বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করে একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
৬ অক্টোবর সোমবার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশ্বস্ত ভেরিফায়েড পেজে এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, কিছু অসাধু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি অপপ্রচার।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান ও সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের উন্নতিসাধনের জন্য একটি গবেষণা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে সেনাসদস্যদের দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় মোতায়েন ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। আলোচনা চলাকালে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি (CrPc) এর ১২৭-১৩২ ধারার আওতায় আইনি ব্যবস্থা ও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়, যা আইনে শৃঙ্খলা রক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ।
আলোচনায় আরও উল্লেখ করা হয়, ইন এড to সিভিল পাওয়ারের জন্য প্রযোজ্য CrPc ১৩২ ধারায় পর্যাপ্ত দায়মুক্তি (Indemnity) রয়েছে, যা মাঠ পর্যায়কারি সেনাসদস্যদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেনাপ্রধান তোলে ধরেছেন যে, এ বিষয়ে ইংরেজি আইনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইনও বাস্তবতায় কাজ করে। সেনাসদস্যরা এই আইনের আওতায় বেআইনি জনসমাগম ছত্রভঙ্গ করে থাকেন, ফলে তাঁদের জন্য আইনগত সুরক্ষা যেমন প্রয়োজন, তেমনি এটি নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়, আলোচনা চলাকালীন কখনোই সেনাপ্রধান গুম-খুন বা মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাউকে দায়মুক্তি দেওয়ার কথা বলেননি। তবে দেশদ্রোহী কিছু ব্যক্তি, বিশেষ করে বিদেশে অবস্থানরত, এই বিষয়টিকে ভূলত্রiole বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তারা ষড়যন্ত্র করে জনপ্রিয় সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করার চেষ্টায় লিপ্ত।
বিবৃতির শেষ অংশে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় সংবিধান, আইন ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ হয়ে পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও করবে। মাঝে মধ্যে কিছু অসাধু মহল এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন প্রচারণা চালায়, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ জন্য জনগণকে বিনীতভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।
আজকের খবর/বিএস