ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো শহরে একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের ব্যাপক ধসের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে নিহতের সংখ্যা now ছিল ৫৪। উদ্ধারকারীরা এখনো নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মুখ থেকেই এ তথ্য জানা গেছে। খবর এএফপির।
ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, দুপুরে। আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের একটি ভবনে, যেখানে চলমান নির্মাণকাজের চাপের কারণে ভিত্তি নড়েচড়ে উঠে এবং ধসে পড়ে। এই ধসের ফলে শতাধিক কিশোর শিক্ষার্থী কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েন।
জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার (বাসার্নাস) অপারেশন ডিরেক্টর যুধি ব্রামান্তিও জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৫৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, আজ (সোমবার) উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে এবং নিহতদের মরদেহ পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার (বিএনপিবি) উপ-প্রধান বুদি ইরাওয়ান বলেছেন, এটি ছিল ইন্দোনেশিয়ার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা। তিনি আরো জানান, এখনও কমপক্ষে ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
তদন্তকারীরা স্কুলটি ধসে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছেন। বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নমানের নির্মাণকাজ সম্ভবত এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ক্রেনের সাহায্যে ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে, সোমবারের মধ্যেই সব ধ্বংসস্তূপ খুলে ফেলা হবে।
প্রথমদিকে উদ্ধারকর্মীরা সুড়ঙ্গ কেটে শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। পরে শুক্রবার থেকে, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অনুমতি নিয়ে ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে ধ্বংসস্তূপ অপসারণের কার্যক্রম শুরু হয়।
আল খোজিনি স্থানীয়ভাবে ‘পেসানত্রেন’ বা ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল নামে পরিচিত। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ, যেখানে সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৭০ লাখ শিক্ষার্থী ৪২ হাজারেরও বেশি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করছে।
এভাবেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবন আরও শোচনীয় হয়ে উঠেছে।