দেশের বাইরে পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দল জেতার জন্য মাঠে নেমে রয়েছে। দেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরার জন্য এগিয়ে চলছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। অন্যদিকে ঢাকা শহরে ক্রিকেট সংগঠকরা ব্যস্ত থাকছেন নিজ নিজ লক্ষ্য অর্জনে—বিসিবির নতুন শাসনকাঠামো গঠনে। ক্রিকেটের উন্নয়ন ও পরিচালনা কেন্দ্রের এই নির্বাচনে সবাই যেন নিজের জায়গা alta থাকতেই চান। গত কয়েক মাস ধরে এই নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ততা, দৌড়ঝাঁপ এবং নানা নাটকীয়তা চলে আসছিল, যা শেষমেষ আদালতের নির্দেশে স্থিরতা পায়। অবশেষে, আজ এই বিতর্কিত ও আলোচিত নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনের গল্পটি অনেক কিছু বলছে—নাগরিকের জন্য এক উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা, যেখানে নানা ঘটনা এবং বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বোর্ডের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা বলছেন, কী理由 এত চাপ, এত আকর্ষণ? কারণ এই নির্বাচনই তাদের কাছে বিশ্বাসের অবলম্বন, ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির প্রতীক। আদালতের নির্দেশনায়, সংবাদ সম্মেলন ও পালটা পাল্টা সভা-সম্মেলনে নানামুখী আলোচনা চলেছে, যেখানে সবই যেন ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য নিবেদিত।
এবারের বোর্ড নির্বাচনে প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসেবে উঠে এসেছেন অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন, যিনি এখন নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণের পথে। আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান নামের একজন প্রার্থী পাল্টে নেওয়ায় এবং নাজমুল আবেদিন ফাহিমের বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ায়, মোট ২৩টি পরিচালক পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল সকাল থেকে বিকাল পযন্ত হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে মোট ২৫ পরিচালক পদের মধ্যে ৮টি হয়েছে মনোনীত, আর বাকিগুলোর জন্য ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নির্বাচিতরা তখন বসে প্রাথমিক সভায় বিসিবির সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচন করবেন। এই পরিস্থিতিতে, বেশিরভাগেরই ধারণা, বিসিবির নতুন সভাপতি হিসেবে আমিনুল ইসলাম বুলবুলই নির্বাচিত হবেন, যাঁর নাম ইতিমধ্যেই ঘোষণা হওয়ার অপেক্ষায়।
বুলবুল বিভিন্ন সময়ে আইসিসির কাজের জন্য পরিচিত ছিলেন, এবং দেশের ক্রিকেটের জন্য কিছু করার স্বপ্নও দেখতেন। তবে তার কর্মস্থল এবং দায়িত্বের মাঝে নানা বাধার সম্মুখীন হন তিনি। এই নির্বাচনের ঘটনাগুলোর মধ্যে আছে নানা নাটক, মনোনয়ন নিয়ে জটিলতা, চিঠিপত্রে বিতর্ক, আদালতের নির্দেশ, কাউন্সিলর নির্বাচনে নানা ভুলত্রুটি ও প্রত্যাহার। বুলবুল অভিযুক্ত হন, তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। শুরু হয় ক্ষমতার লড়াই, যা দেখে বোর্ডের ভিতর-বাইরে ক্ষমতার দাপট।
বিশেষ করে, কাউন্সিলর মনোনয়নের বিষয়টি ছিল বেশ জটিল। বুলবুল নিজে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, তিনি চিঠি দিয়ে বলেছিলেন, যারা ক্রিকেটে অভিজ্ঞ ও খেলা করেছেন, তারা যেন কাউন্সিলর হিসেবে মনোনীত হন। আইনগত জটিলতা ও আদালতের রায়ে ভোটাধিকার পুনঃস্থাপন হওয়ায় পরিস্থিতি এখন আরো স্পষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা স্বেচ্ছায় প্রস্তাব প্রত্যাহার করেছেন, আবার কেউ কেউ এখনো নির্বাচনের পথে রয়েছেন। এই মুহূর্তে, নির্বাচন কমিশন ও আদালতের সিদ্ধান্তের কারণে নতুন করে ভোটাধিকার ফিরে পেতে প্রস্তুত বিভিন্ন ক্লাব।
সব মিলিয়ে, দেশের ক্রিকেটে এই সময়টি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। ভবিষ্যতের পথ দেখানোর জন্য এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন অপেক্ষায় রয়েছেন, কার হাতে যাবে দেশের ক্রিকেটের নিভৃত দায়িত্ব। এই নির্বাচনই হবে দেশের ক্রিকেটের নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার অপেক্ষায় রয়েছে।