বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ ১৯৯০ সালের স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে ছিল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং 기억ে ঝড়ো নাম। এই রক্তক্ষয়ী আন্দোলন ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের মুক্তির জন্য এক অবিস্মরণীয় সংগ্রাম। তিনি বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, আমি শহীদ জেহাদ দিবসে গভীর শ্রদ্ধা জানাই সেই অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্রনেতা শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের প্রতি, যিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি। তিনি আরও বলেন, ১৯৯০ সালের স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলনে শহীদ জেহাদ ছিলেন এক অনন্য নেতা। এই রক্তাক্ত সংগ্রামে তিনি নিজের জীবন দিয়ে ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। এই আন্দোলনেই তাঁর রক্তের ধারা বয়ে গিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, এরশাদ স্বৈরশাসক গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন, কিন্তু দেশপ্রেমের চেতনা ও মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন শহীদ জেহাদ। তাঁর স্বপ্ন ছিল একটি মুক্ত এবং সামাব্য গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা, যা আমরাও বাস্তবায়নে এগিয়ে যাব। যদি আমরা তাঁর স্বপ্নের পথে অগ্রসর না হই, তবে তাঁর আত্মা নিশ্চয়ই কষ্ট পাবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব করতে হবে। গণতন্ত্র মানে শুধু ভোটাধিকার নয়, এটি মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীকারের বাস্তব রূপ। এই লক্ষ্যেই শহীদ জেহাদের প্রেরণাকে নিজেদের শক্তিতে রূপান্তর করে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা কাজ করে যাব।