পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আগামী ১৩ অক্টোবর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বান্দরবানে সর্বাত্মক হরতালের ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। এই হরতাল পালনের মূল লক্ষ্য হলো দেশের কেন্দ্রীয় নাগরিক ঐক্য ও সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়নের জন্য সোচ্চার হওয়া।
বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর সকালে বান্দরবানের একটি আবাসিক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবুর রহমান। তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের বৈষম্য ও সাংবিধানিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। তাই আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের প্রহসনের পার্বত্য চুক্তি ১৯০০ বাতিল করে সংবিধানের ভিত্তিতে তিন পার্বত্য জেলার স্বাভাবিক শাসন ব্যবস্থা চালু করা, জমি ক্রয়-বিক্রয়, চাকরি ও শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে রাজার সনদ বাতিল করা।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জমি ক্রয়-বিক্রয়, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের জন্য যুগোপযোগী ব্যবস্থা চালুর পাশাপাশি, নিরুদ্বিগ্ন জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে চাঁদাবাজি, গুম, খুন, ও অস্ত্রের অবৈধ ব্যবসা বন্ধের দাবি তোলা হয়েছে। এছাড়া, জেলা ভিত্তিক সেনা ক্যাম্পগুলো পুনঃস্থাপন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মো. শাহজালাল, বান্দরবান জেলার সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম, সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আবছার এবং বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু উপস্থিত ছিলেন। এ দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের দীর্ঘদিনের অরণ্যোচিত দাবিগুলোর সমাধান প্রত্যাশা করা হচ্ছে।