হলিউডের একজন জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। তিনি একের পর এক অসাধারণ সিনেমায় অভিনয় করে নিজের স্থান করেছেন সিনেমা জগতে। তার এই দীর্ঘ এবং সফল ক্যারিয়ার আজও নতুন আগ্রহ ও উচ্ছ্বাস নিয়ে অব্যাহত। সম্প্রতি তিনি ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন। তার ৫০তম জন্মদিনটি ছিল ৪ অক্টোবর, যা তিনি বেশ উত্তেজনার সঙ্গে উদযাপন করেছেন। এ উপলক্ষে ‘ভোগ ইউকে’ নামক ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, নারীর বয়স যত বাড়ে, ততই তার মাঝে নতুন সুন্দর্য্য উদ্ভাসিত হয়। কেট উইন্সলেট বলেন, “নারীরা যখন বড় হয়ে ওঠে, তখন তাদের মুখের গড়ন আরো সুন্দর হয়ে ওঠে। জীবনযাত্রার ছাপ, অভিজ্ঞতা এবং স্মৃতি মুখে ফুটে উঠে। আমি চোখের কোণের রেখা এবং হাতের পেছনের বলিরেখাগুলোকে খুব সুন্দর মনে করি, কারণ এগুলো আমাদের জীবনের গল্প বলে।” তিনি আরও বলেছিলেন, পঁচাশি বছর বয়সে পৌঁছে নতুন পরিকল্পনা করেছেন তিনি। তার পরিকল্পনা হচ্ছে, এই বছর যেন তিনি ৫০টি ভালো কাজ করতে পারেন। হয়তো কোন চড়াইপড়াইয়ে যাওয়া বা নতুন জায়গায় ভ্রমণ, বা কারও জন্য ভালো কিছু করা—এই বিষয়গুলোকে তিনি খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি একটি ছোট তালিকা তৈরি করছেন যাতে তিনি তার ভবিষ্যতের লক্ষ্যগুলো লিখে রাখছেন। কেট উইন্সলেটের প্রথম বড় পরিচিতি আসেন ১৯৯৭ সালে, যখন তিনি জেমস ক্যামেরনের বিশ্ববিখ্যাত সিনেমা ‘টাইটানিক’ এ অভিনয় করে রাতারাতি ঝড় তুলে দেন। এরপর তিনি একের পর এক চ্যালেঞ্জিং ও ভিন্নধর্মী প্রজেক্টে কাজ করেছেন, যেমন ‘হলি স্মোক!’, ‘কুইলস’, ‘ইটারনাল सनশাইন অব দ্য স্পটলেস মাইন্ড’। ২০০৮ সালে ‘দ্য রিডার’ সিনেমায় তার অসাধারণ পারফরমেন্সের জন্য তিনি অস্কার পুরস্কার লাভ করেন। সিনেমার পাশাপাশি টিভিতেও তিনি সফলতা অর্জন করেছেন। তাঁর হিবিবিতে বানানো ‘মেয়ার অব ইস্টটাউন’ নামের মিনি সিরিজটি বিস্ময়করভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। সম্প্রতি তিনি ‘অ্যাভাটার’ চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় পর্বে আবারও দেখা গেছে, যেখানে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। এইভাবে, কেট উইন্সলেট তার ক্যারিয়ারে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে চলেছেন, এবং বলছেন, বয়সের সাথে সাথে তাদের সৌন্দর্য্যও যেন আরও বৃদ্ধি পায়।