বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যদি ধানের শীষের বিজয় ঘটে, তাহলে দেশবিরোধী চক্রান্তকারীরা অনিশ্চয়তার পথ ঘুরে চলে যেতে বাধ্য হবে। তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনে ধানের শীষের স্বতন্ত্রতা এবং জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যা মানতে না পেরে ষড়যন্ত্রের পথে নেমেছে কিছু চক্রান্তকারী।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, এনসিপিসহ অন্যান্য দলের কিছু অংশ শাপলা মার্কা বা অন্য কোনও মার্কা বাতিলের দাবি তুললেও এর কোনো ভিত্তি নেই। নির্বাচনে যেই মার্কা দেওয়া হবে, সেটাই ইসির সিদ্ধান্ত। ধানের শীষকে কেন্দ্র করে অযথা বিভ্রান্তির সৃষ্টি না করে সবাইকে একসাথে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ফখরুল আরও বলেন, ধানের শীষের জয়ের মাধ্যমে দেশের স্বাধিকার ও গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন কিছু চক্রান্তকারীরা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আঘাতগুলো আঘাত হানে বাধা দেয়ার জন্য। প্রতিশ্রুতি দেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে যদি সত্যিই ভোটের ফলাফল আসে, তাহলে সংশ্লিষ্ট সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে এবং অন্ধকারে চলে যাবে চক্রান্তকারীরা।
তিনি বলেন, কেবল আইন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যতীত নিশ্চিত কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে না। দেশের জনগণ খুবই খাসা। তারা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে এসেছে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অর্জনের জন্য। বারবার হেরেও তারা উঠে দাঁড়ায়, সংগ্রাম চালিয়ে যায়, এবং শেষ পর্যন্ত বিজয় অর্জন করে”,
ফখরুল আরও বলেন, “আমরা যখন দেখি কিছু মানুষ বা সংগঠন নানা কৌশলে জুলাই আন্দোলন বা অন্য কোনও আন্দোলনের দিকে দৃষ্টি দেয়, তখন বোঝা যায় তারা আসলে জনগণের আন্দোলনকে বিভ্রান্তির আড়ালে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করছে। বিএনপি সব সময়ই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে এসেছে।”
তিনি শেষ বক্তব্যে বলেন, ‘জনগণ বরাবরই গণতন্ত্রপ্রেমী ও স্বাধীনতাকামী। তারা প্রতিবার লড়াই করে, সংগ্রাম করে, রক্ত দেয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই লড়াইয়ে বারবার বাধার সম্মুখীন হয়। তবে, তারা কখনো হাল ছেড়ে দেয় না; আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে সব বাধা পেরিয়ে বিজয় অর্জন করে।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে প্রত্যেকটি পদে সম্মান দেওয়া উচিত। কারণ, তিনি দেশের সব পরিস্থিতি তছনছ করে দিয়েছেন—অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, বিচার ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছুই তার আক্রমণের শিকার। রাজনীতির এই দুর্বিষহ পরিস্থিতির জন্য তিনি দায়ী।’