গাজায় শান্তি স্থাপন ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্র যৌথ টাস্কফোর্সের অংশ হিসাবে ২০০ সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে। তবে, যারা জানেন, কোনো মার্কিন সেনা সরাসরি সেখানে মোতায়েন করা হবে না। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো গাজার পরিস্থিতির উন্নতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে, এই সেনারা গাজায় কার্যকরভাবে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের দুই সর্বোচ্চ কর্মকর্তা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এই ২০০ সেনা টাস্কফোর্সের মূল অংশ হিসেবে কাজ করবে। এ ছাড়াও মিসরের সশস্ত্র বাহিনী, কাতার, তুরস্ক এবং সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরাও এই উদ্যোগের অংশ হবেন।
গত বুধবার, মিশরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে অনুষ্ঠিত চলমান বিভিন্ন আলোচনা তৃতীয় দিনের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেয় হামাস ও ইসরায়েল। এই আলোচনা মূলত যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় পরিচালিত হয়েছে। চুক্তির আওতায়, গাজার সংঘাত বন্ধের পাশাপাশি দুই পক্ষ বন্দি বিনিময়ও করবে।
এর ফলে গাজা ও ইসরায়েলজুড়ে সাধারণ মানুষ বেশ উচ্ছ্বসিত। যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে, কারণ এতে তাদের অনেকের জিম্মি থাকা স্বজনদের মুক্তির আশার আলো জ্বলে উঠেছে। ইসরায়েলেও যুদ্ধবিরতির এই খবর নিয়ে উল্লাস দেখা গেছে।
প্রায়এক দশক ধরে গাজায় চলমান নৃশংসতা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর খুবই তীব্র আঘাত হেনেছে। এই সময়ে ইসরায়েল দুই ধাপে গাজায় ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে, আর সেখানে যুদ্ধবিরতির সময় খুবই অল্প সময় ছিল। এর মধ্যে দুই মাসের কিছু বেশি সময় যুদ্ধবিরতি ছিল। এই সময়ে, ইসরায়েল ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
গাজার পরিস্থিতি এবং শান্তির এই নতুন দিগন্ত নিয়ে বাংলাদেশের খবর/বিএস।