মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গাজায় চলমান সংঘাতের অবসানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল। তারা হামাসের সঙ্গে একসঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে, যা আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল সরকার, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে পার্লামেন্টের ভোটের মাধ্যমে চুক্তিটি অনুমোদিত হয়। এর ফলে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে প্রত্যাশা। পাশাপাশি, পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় থাকা ৪৮ জন ইসরায়েলি আটক মুক্তি পাবে, যার মধ্যে কমপক্ষে ২০ জনকে জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সরকার এখনই সব জিম্মি মুক্তির জন্য একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে, যেখানে জীবন ও মরদেহ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে ইসরায়েল নির্দিষ্ট সীমারেখা পর্যন্ত সেনা প্রত্যাহার করবে বলে জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান বলেছেন, বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি নেতা মারওয়ান বারঘুতিকে মুক্তি দেওয়া হবে না। এছাড়াও, তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা প্রত্যাহার করলেও গাজার অর্ধেকের বেশি এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বলেন, গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি সম্ভবত সোমবার বা মঙ্গলবার হবে। তিনি নিজে মিশরে যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চান।
ট্রাম্প আরও যোগ করেন, দ্বিতীয় ধাপে হামাসকে নিরস্ত্র করা, এবং ইসরায়েলি বাহিনীর কিছু এলাকা থেকে প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সংক্ষেপে, এই চুক্তি পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ পথে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে বিশ্ববাসী।