দৈনিক ভোরের চেতনার বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক এ. এস. এম. হায়াত উদ্দীনকে কুপিয়ে হত্যা সহ দেশের সারাদেশে চলমান সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় শহরের নিউমার্কেট মোড়স্থ শহীদ সম আলাউদ্দিন চত্তরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে এই মানববন্ধন berlangsung। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেম ও সঞ্চালনা করেন যুগ্মসম্পাদক বেলাল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা, যেমন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ বেনার্জী, সাবেক প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, একাত্তর টিভির বরুণ বেনার্জী, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের আমিনা বিলকিস ময়না, যমুনা টিভির আকরামুল ইসলাম, এখন টিভির আহসানুর রহমান রাজিব, মানবজমিনের এস. এম. বিপ্লব হোসেন, স্বদেশ প্রতিদিনের সোহাগ হোসেন ও ভোরের সকালের তৌফিকুজ্জামান লিটুসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের মূল কাজ মানববন্ধন বা প্রতিবাদ সমাবেশ করা নয়, বরং সমাজ ও রাষ্ট্রের অস нечর এবং দুর্নীতি তুলে ধরা। তবে, এ কাজ করতে গিয়ে একের পর এক সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে। কিছু দিন আগে বাগেরহাটে সাংবাদিক হায়াত উদ্দীনকে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তারা বলেন, প্রশাসন এই ব্যাপারে এখনো কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তারা এই রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করছে। বিগত সরকারের আমলে সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে বেশ কিছু। বর্তমান সরকার আসার পরেও দেশের সাতজন সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ড ঘটলেও তেমন কোন বিচার পাননি স্বজনরা।
তারা অভিযোগ করেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো রাজনৈতিক দলের মদত থাকার বিষয়টি খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে তারা সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় দৈনিক ভোরের চেতনার স্টাফ রিপোর্টার এ. এস. এম. হায়াত উদ্দীন বাগেরহাট শহরের হাড়িখালী এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। ঠিক তখনই মোটরসাইকেলে আসা কিছু দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দ্বারা তাকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ফেলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তার মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে স্থানীয় বিএনপি কর্মী মো. ইসমাইল মোল্যাকে প্রধান অভিযোগ suppressor বাদী করে ৭ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ইতিমধ্যে দু’জনকে আটক করেছে।