রাজনীতি সচেতন এই খ্যাতিমান ভাস্কর পাপিয়া কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার মাটিতে উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের একজন সক্রিয় অনুগত, এবং তার এই উপলব্ধির প্রমাণ হিসেবে একটি একক ভাস্কর্য প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। শিল্পীর লক্ষ্য হল, তার জন্মদিনের ঠিক আগে এই মহান নেতার স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন তুলে ধরা।
ভাস্কর পাপিয়া ১৯৭৭ সালের ১০ অক্টোবর কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করে মাস্টার্স শেষ করেছেন। তিনি খ্যাতিমান ভাস্কর হাবীবা আখতার পাপিয়া। বর্তমানে তিনি শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
তিনি নারী শিল্পীদের মধ্যে বিশেষভাবে পরিচিত। তার দুটি একক ভাস্কর্য প্রদর্শনী সহ দেশের ও দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি দলীয় প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। তার শিল্পকর্ম নেপাল, মালয়েশিয়া, ভুটান ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের প্রদর্শনীতে অভিনব দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তার ভাস্কর্য নির্মাণের মূল বিষয়গুলো হলো স্মৃতি, নারীমুক্তি, স্থান ও ফর্ম। জুলাই মাসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অভ্যুত্থান বিষয়ক ভাস্কর্য কর্মশালা পরিচালনা করেছেন। ব্রোঞ্জ কাস্টিং মাধ্যমে তার আধুনিক ভাস্কর্য শিল্প দেশের বাইরেও ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছে। তিনি একজন প্রশিক্ষিত ফ্যাশন ডিজাইনারও।
অভিনব এই শিল্পীর জন্মদিনে সবাইকে শুভেচ্ছা ও দোয়া জানিয়েছেন।
প্রতিশ্রুতিশীল এই শিল্পী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। তার অনেক শিল্পকর্ম দেশের বিভিন্ন সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত।