জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পঞ্চগড়ে এক কর্মসূচিতে বক্তব্য দিচ্ছিলেন যখন হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়, তখন ক্ষিপ্ত হয়ে সারজিস আলম বলেছেন, এর আগে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি অারోড করে বলেছেন, ‘নেসকোর মালিককে এবং তার পিতাকে এই ব্যাপারে জবাব দিতে হবে। প্রোগ্রাম চলাকালে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া কেন হয়? একদিন হয়, দুইদিন হয়, কিন্তু তিন দিন তো চলতেই থাকে। যারা এই কাজ করছে, তারা সবাই রাজনীতিবাজ। এরা দেউলিয়া, এই দেউলিয়াদের আমি দেখে নিব, তাদের কলিজা কত বড় তার পরীক্ষা নেব। যদি দেখেন তাদের কলিজা ছোট, তবে রাস্তায় ফেলে দেব।’পঞ্চগড়ে চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য অপকর্মের বিরুদ্ধে সারজিস আলমের নেতৃত্বে গতকাল শনিবার শহর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচির সমাপ্তির বক্তব্যে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি এসব কথা বলেন। পঞ্চগড়ের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিসৌধে এই ক্রীতদাস অভিযানে সারজিস আলম ঘোষণা করেন, ‘পরবর্তী সময়ে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান পঞ্চগড়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, তবে আমি নিজের কমিটমেন্ট অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠান এখানে থাকবে না। নিজেরা দেউলিয়ারা নিজেদের আখের গোছানোর চেষ্টা করে, কিন্তু এই শহর দেউলিয়াদের জন্য নয়। খোদ স্বৈরাচার হাসিনা হলেও আমি তাদের পাশে থাকবো না, আমি গোনাবো না।’তিনি আরও বলেন, ‘চাঁদাবাজ, দখলদার, সিন্ডিকেট, মাদক ব্যবসায়ী এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যখনই কথা বলবো, তখনই কেউ না কেউ অপছন্দ করে। তখনই তাঁরা আমাদের ওপর বাধা সৃষ্টি করে। কিন্তু আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, পঞ্চগড়ের এই মাটিতে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, চাঁদা, সিন্ডিকেট, দখলদারিত্ব এবং মাদক ব্যবসায়ীদের ঠেকানোর জন্য আমরা বেঁচে থাকবো যত দিন, এবং তাদের অবস্থা দিন দিন খারাপ হবে। আমাদের নজরদারিতে থাকবো, তাদের কলিজা কত বড় সেটা দেখব।’এর আগে, এনসিপির পঞ্চগড় জেলা আয়োজিত উদ্যোগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পঞ্চগড়ের ঐতিহাসিক চিনিকল মাঠ থেকে বাংলাবান্ধার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু হয়। এর নেতৃত্ব দিয়েছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সাথে ছিলেন পাঁচ উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারীরা ও দলের নেতা-কর্মীরা। এই পথে কয়েকশো পিকআপ ও পাঁচশোয়ের বেশি মোটরসাইকেলের বহর ছিল।