সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৃদ্ধি, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা সহ তিন দফা গুরুত্বপূর্ণ দাবির জন্য চালানো ব্যানার ও লিফলেট নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চালানোর সময় পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এই ঘটনার পরিষ্কার নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, দীর্ঘদিন ধীরে ধীরে শিক্ষকদের এই মূল দাবি—মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ানো, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা—সংক্রান্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। রোববার সকালে ৮টায় কর্মসূচি শুরু হলে বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ছুঁড়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন। জাতির গড়ার কারিগরদের ওপর এ ধরনের হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।
নেতারা আরও বলেন, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা হলেও, এখনও তাদের মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত হয়নি। শিক্ষা ও গবেষণার পরিবর্তে বারবার রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা, যা আমাদের জন্য গভীর দুঃখের ও লজ্জাজনক। আরও দুঃখের বিষয় হলো, যতবার শিক্ষকেরা তাদের ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলনে উঠেছেন, ঠিক তখনই পুলিশ দিয়ে তাদের বাধা দেওয়ার অপচেষ্টা শুরু হয়।
অবশেষে, বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, আন্দোলন করা একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বলপ্রয়োগ করে আন্দোলন দমনের এই প্রক্রিয়া নিছক স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ। শিক্ষকদের ওপর হামলা বন্ধ করাটা জরুরি। বাংলাদেশে সচেতন নাগরিকরা এই ধরনের অমানবিকতার প্রশংসা করতে পারে না।
একই সাথে, বর্তমান ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা সবার কাছে আহ্বান জানান, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিগুলোর দ্রুত সমাধানে আলোচনা ও শান্তিপূর্ণ পথে সমঝোতা করার জন্য সরকারের প্রতি। এই ঘটনাকে ঘিরে অবিলম্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, যাতে শিক্ষা পেশার মর্যাদা নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হয়।