ফিলিস্তিনের স্বাধীন্ত্রপন্থী সংগঠন হামাস ইসরাইলের সাত জিম্মিকে রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইসরাইলি সেনাবাহিনী, যারা নিশ্চিত করেছে যে, গাজার বিভিন্ন স্থান থেকে রেড ক্রস তাদের হাতে এই জিম্মিদের তুলে দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানা গেছে, ইসরাইলের সাত জিম্মি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে (Twitter) সেনাবাহিনী জানায়, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এই জিম্মিদের গ্রহণ করেছে এবং বর্তমানে তারা গাজা উপত্যকায় অবস্থান করছে।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামাস সংগঠনটি নিরাপত্তা ও মানবিক কারণে এই সাতজন জিম্মিকে নিজেদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, রেড ক্রস বর্তমানে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনারা ও শিন বেতের সদস্যদের জন্য রওনা দিচ্ছে।
ইসরাইলি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, গালি ও জিভ বারম্যানের যমজ সন্তান, মাতান অ্যাংরেস্ট, অ্যালোন ওহেল, ওমরি মিরান, এইতান মোর এবং গাই গিলবোয়া-দালাল।
জামিন ও মুক্তির এই খবরটি ইসরাইলের হোস্টেজেস স্কয়ারে ব্যাপক উল্লাসের সৃষ্টি করেছে। সেখানে হাজারো ইসরাইলি নাগরিক আনন্দে আতিথ্য প্রকাশ করেছেন, একে অপরকে কোলাকুলি করেছেন, গান গাইছেন এবং তাদের দেশের পতাকা উড়াচ্ছেন।
অপরদিকে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে বিশাল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে পৌঁছাবেন শত শত মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দি।
প্রসঙ্গত, হামাস সংগঠনটি আগে থেকেই ঘোষণা করে রেখেছে যে, তারা ২০ জন ইসরাইলি জিম্মির তালিকা প্রকাশ করেছে। বর্তমানে এই ২০ জনের মধ্যে অবশ্যই জীবিত থাকছেন বলে ধারণা করা হয়। বিনিময় চুক্তির আওতায়, ইসরাইলি কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।