আগামী বছর ২০২৬ সালের হজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জারি করেছে। এ সম্পর্কিত খবরে বুধবার (১৫ অক্টোবর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এজেন্সিগুলোর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
আগামী বছরের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে, অনেকটাই নির্ভর করছে তখনকার মোটা দাগে, ২৬ মে অঙ্কিত সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের জন্য বাংলাদেশে হজের কোটা নির্ধারিত হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। পাশাপাশি, হজে যেতে প্রাথমিক নিবন্ধনও আজ (১৬ অক্টোবর) শেষ হচ্ছে।
সৌদি সরকারের নির্ধারিত ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হলো:
১. বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া সরকারি ও বেসরকারি সব হজযাত্রীদের তথ্য, যেমন তাদের সংখ্যা, জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দরের মাধ্যমে যাতায়াতের বিবরণ, ও অন্যান্য যোগাযোগের তথ্য সঠিকভাবে সৌদি কর্তৃপক্ষের জানানোর জন্য।
২. হজ যাত্রীরা এক ভবন থেকে অন্য ভবনে স্থানান্তর, মাসার সিস্টেমের আওতায় বা অপ্রামাণিত আবাসনে থাকার ব্যবস্থা বন্ধ করা হবে। এ ধরনের অব্যবস্থাপনা পেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে এবং সৌদি আরবে প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
৩. গত বছরের মতো ২০২৫ সালের হজ মৌসুমে কোনো কালো তালিকাভুক্ত এজেন্সি হজ পরিচালনায় অংশ নিতে পারবেন না।
৪. একটিসময় যোগাযোগের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গঠন করা হচ্ছে। এতে যোগ্য এজেন্সির নাম, বিবরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সময়মতো আপডেট করতে হবে। এ গ্রুপে বাংলাদশের ২০২৬ সালের হজ পরিকল্পনা, হজযাত্রীর সংখ্যা, মনোনীত লিড এজেন্সি, হোটেল বুকিং ও আর্থিক লেনদেনের তথ্যসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শীঘ্রই আপলোড করতে বলা হয়েছে।
৫. সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিহ্নিত ৯ ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হজে যেতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাফেয়ার্স সার্টিফিকেট দিতে হবে। এই সার্টিফিকেট না থাকলে বা ত্রুটি থাকলে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল টিমের প্রধানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবা ও মেডিক্যাল সেন্টার পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে।
৬. ২০২৬ সালের হজের জন্য ব্যবহার হবে ‘নুসুক’ কার্ড। এসব কার্ড বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেলে হজযাত্রীদের স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হবে। এ জন্য হোটেল ও মক্কা, মদিনার ঠিকানা, কক্ষ ও বেড নম্বর আগে থেকে নিশ্চিত করে সরবরাহ করতে হবে। এসব তথ্য নুসুক কার্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এ ব্যবস্থা একসঙ্গে মিলিয়ে সুষ্ঠু এবং পরিকল্পিত হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।