গাজার যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর করতে সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন দূত। পরিস্থিতির আরও সংকটজনক হয়ে ওঠার কারণে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে, যা এই যুদ্ধবিরতি কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে, রোববার এক ফিলিস্তিনি হামলার ফলে দুই ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হন। এর প্রতিশোধে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর মধ্যেই, ট্রাম্প প্রশাসন আবারো যুদ্ধবিরতি রক্ষা ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ তৈরি করছে। অঙ্গীকারবদ্ধ থাকলেও স্বল্প সমাধানে জটিলতা ও অস্থিতিশীলতা কাটছে না। হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার এবং গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন নিয়ে এখনো কোনও চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।
পরবর্তী ধাপের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় তৎপরতা ত্বরাণ্বিত হয়েছে। ট্রাম্প সোমবার জানান, তিনি যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, হামাস যদি চুক্তি লঙ্ঘন করে, তবে তার দায়িত্ব পুরোপুরি সংগঠনের ভেতর বিদ্রোহীদের। তবে, তাতে মার্কিন সেনা সরাসরি অংশ নেবে না। মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ও জেরাড কুশনার সোমবার ইসরায়েলে পৌঁছাচ্ছেন, যেখানে তারা যুদ্ধবিরতি স্থিতিশীল করতে এবং ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার বিবরণ নিয়ে আলোচনা করবেন। এর পরদিন, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স দেশটিতে আসছেন। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে।
এছাড়াও, কায়রোতে সোমবার হামাস প্রতিনিধিদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যা ট্রাম্পের শান্তিচুক্তি দীর্ঘস্থায়ী করার প্রচেষ্টার অংশ।
অন্যদিকে, গাজার মধ্যে ইসরায়েলি সেনাদের ‘হলুদ লাইনের’ কাছে সোমবার ট্যাঙ্ক হামলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি চিকিৎসকদের বরাতে। ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছেন, ওই রেখা অতিক্রম করে হামাসের যোদ্ধারা ঢোকার চেষ্টা করছিল, ফলে তারা গুলি চালায়। অনেক গাজার বাসিন্দা জানিয়েছেন, স্পষ্ট সীমারেখা না থাকায় ওই হলুদ লাইন ঘিরে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।