প্রায় তিন বছর ধরে চলমান দুর্নীতির তদন্তের পর অবশেষে নতুন developments আসলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানসহ মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ হলো, এননটেক্স গ্রুপের নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা রচনা করেছেন তারা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্থার মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন নিশ্চিত করেছেন যে, শিগগিরই এই চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি দ্যাখা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হোসাইন।
তদন্তের অনুযায়ী, আসামিরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, জনতা ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারাকাত, এম.এ. জামাল উদ্দিন আহমেদসহ আরও বেশ কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী। এই তালিকায় রয়েছেন এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল ও মো. আনোয়ার হোসেন, বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা, এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রতিবেদনসূত্রে জানানো হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশে প্রতারণা করে জালিয়াতির মাধ্যমে জনতা ব্যাংকের শাখা থেকে প্রায় ৫৩১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এ টাকা সুদ-আসলে মোট প্রায় ১,১৩০ কোটি ১৯ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে। অ্যাকাউন্টে থাকা ছিল ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা, যা পরে আরও বেড়ে যায়। এই জন্যই অভিযোগ, তারা ব্যাংকের অর্থ লেনদেন ও ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ও ব্যাংকিং তথ্য জালিয়াতি, প্রতারণা ও অর্থের জাল নোট তৈরি করে এই মহান অর্থ লুটের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করেছে দুদক।
এ ঘটনায় ব্যাংকিং ও অর্থনীতির মহল এক বিশাল ধাক্কা খেয়েছে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক হতে বলা হয়েছে। এই জালিয়াতির তদন্ত এখনও চলমান, এবং আশা করা যাচ্ছে, শিগগিরই যথাযথ বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা হবে।