২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে গাজা ও পশ্চিম তীরে ব্যাপক ধ্বংস ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে চলেছে। ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এই সংক্রমণে শতাধিক স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৩১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী, আর নিহত শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের সংখ্যা এই পরিসংখ্যানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য এই সময়টি খুবই কষ্টের। গাজায় ১৯ হাজার ৯১০ জন এবং পশ্চিম তীরে আরও ১৪৮ জন শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি, আহত হয়েছেন ৩০ হাজার ৯০৭ জন গাজা ও ১ হাজার ৪০২ জন পশ্চিম তীরের শিক্ষার্থী। হামলার ফলে অন্তত ১৭৯টি স্কুল ও ৬৩টি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে, বেশ কিছু স্কুল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা থেকে ৩০টি স্কুল তাদের ভবন ধ্বংসের কারণে বাদ দিতে হয়।
প্রায়শই হামলায় পশ্চিম তীরের হেবরন ও তুবাসে দুটি স্কুল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভবন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসা সূত্র জানাচ্ছে, এই সংঘর্ষে গাজায় এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে, যেখানে আহতের সংখ্যা প্রায় ১৭০ হাজারের কাছাকাছি।
অবস্থা এতটাই গুরুতর যে, অধিকৃত পশ্চিম তীরেও উদ্বেগজনক হারে হামলা বাড়ছে। সেখানে কমপক্ষে ১ হাজার ৫৬ জন নিহত ও ১০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। আটকা পড়েছেন আরও ২০ হাজারের বেশি মানুষ, তাদের মধ্যে ১ হাজার ৬০০ জন শিশু। এই পরিস্থিতি শোচনিক এবং অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে, যা পুরো অঞ্চলের মানবেতর পরিস্থিতির প্রমাণ।