বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানসহ মোট ২৬ জনের নামে প্রায় ৫৩১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি চার্জশিট গ্রহণ করেছে। এই অভিযোগের মূলত বিষয়ে কমিশন নিশ্চিত করেছে যে, এননটেক্স গ্রুপের নামে দুর্নীতির মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জালিয়াতি করা হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সভায় এটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে, ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলার তদন্ত শুরু হয়, যেখানে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হোসাইন মামলাটি দায়ের করেন।
তদন্তে দেখা গেছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ড সৃষ্টি করে জনতা ব্যাংকের পিএলসির শাখা থেকে প্রায় ৫৩১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। প্রথমে এ रकम ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬২ টাকা ছিল, তবে তদন্তের পর সেটি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১,১৩০ কোটি ১৯ লাখ টাকায় পৌঁছেছে।
অভিযুক্ত হিসাবে রয়েছেন সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানসহ প্রাসঙ্গিক ব্যাংকার, ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা, এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল ও মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, পাশাপাশি অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
দুদকের পর্যবেক্ষণে, এই জালিয়াতির পেছনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অর্থপাচার ও মানি লন্ডারিং জড়িত রয়েছে। তারা সবাই জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন বলে তদন্তে জানা গেছে।
এই মামলার আনুষ্ঠানিক চার্জশিট এখন আদালতে দাখিলের জন্য প্রস্তুত। অভিযুক্তরা এখন উচ্চমাত্রায় প্রতারণা ও অর্থপাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হবেন। এই দুর্নীতিরোধে সরকারের সুনজর এবং ব্যবস্থা জোরদার করার পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।