দীর্ঘ গুজব ও জল্পনার পর অবশেষে বাংলা সিনেমায় অভিষেক হতে যাচ্ছে তানজিন তিশার। এটি হলো দেশের অন্যতম শীর্ষ নায়কের সাথে তার প্রথম বড় প্রজেক্ট, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপলক্ষে সিনেমার প্রথম দিন। শুটিং চলছে শাকিব খান ও তিশার এই সিনেমার, যেখানে এরই মধ্যে লিক হয়েছে একাধিক ফুটেজ, যা সিনেমাকে ঘিরে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে। দর্শকদের মধ্যে সিনেমাটির প্রতি উচ্চ প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।
তবে এই উত্তেজনার মাঝেই ঘটে গেলো একটি গুরুতর ঘটনা যা পুরো বলিউড বা সিনেমার জগতকেও নাড়িয়ে দিতে পারে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঝিনুক নামে এক নারী উদ্যোক্তা একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন, যেখানে তিনি বলছেন তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ। তিনি অভিযোগ করেছেন, একটি শাড়ি ফ্রি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিশা তার কাছ থেকে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
ঝিনুকের অভিযোগ, গত জানুয়ারিতে তিনি তার ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তিশার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখানে তিশা একটি অনলাইন ফ্যাশন পেজ ‘এ্যাপোনিয়া’ থেকে কিছু জামদানি শাড়ির ছবি দেখতে চান। ঝিনুক বলেন, তিশা একটি হলুদ জামদানি শাড়ি পছন্দ করেন, যার দাম ছিল ২৮৮০০ টাকা। তিশা শর্ত দেন, শাড়িটি তিনি ফ্রিতেই পাবেন, তবে শর্ত হলো এর প্রচারণা চালাতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিশা এতে সম্মতি জানান এবং শাড়িটি তার বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
কিন্তু এরপর থেকে প্রায় ১০ মাস পার হলেও তিশা কোনোভাবেই আগের প্রতিশ্রুতি রাখেননি। ঝিনুকের অভিযোগ, তিনি বারবার ফোন, ভয়েস মেসেজ ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিশার কোন সাড়া মেলেনি। তিনি এখন শাড়ির মূল্য ফেরত চাচ্ছেন, নচেৎ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় বড় ধরনের চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সিনেমা ও সামাজিক মাধ্যমে। এই পরিস্থিতিতে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তানজিন তিশা। তিনি লেখেন, ‘গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক! হা.. হা..!’
তারপর তিশা ঝিনুকের উদ্দেশে বলেন, ‘ফটোশুটই কি করাতে চান? পারিশ্রমিক কই? আপনার মতো করতে পারি?’ বলে সমাজের হাস্যরস্য সৃষ্টি করেছেন। এরপর আরও যোগ করেন, ‘ফটোশুটই করতে চান, টাকা দিন। আজব নারী উদ্যোক্তা! আপনার গিফটের জন্য সালাম।’ তবে এই মন্তব্যের অর্থ বা তার পরবর্তী কিছু বোঝা যায়নি। এর মাধ্যমে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে, হয়তো তিনি শাড়ির জন্য অর্থ ফেরত দেবেন, না কি এরপরও ঝিনুকের প্রতি অধরা থাকবেন।
এই পুরো ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও গল্পের ঘোর জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। এটাই এখন সিনেমার জগতের নতুন বিতর্কের বিষয়।