সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা আবদুল্লাহিল আমান আযমী দাবি করেছেন, যে ২৫ সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট issued হয়েছে, তারা সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে থেকে অপরাধ করেনি। বরং তারা সেনাপ্রধানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে এই কাজগুলো করেছে। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, অভিযুক্ত এই সেনা কর্মকর্তারা বাহিনী বা সেনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে অবস্থিত বিভিন্ন র্যাবে যোগ দিয়ে এই অপরাধে জড়িয়েছে। তাদের সংখ্যা মোট সেনাসদস্যের এক শতাংশেরও কম। তাই পুরো সেনাবাহিনীকে তাদের অপকর্মের জন্য দোষ দেওয়া ঠিক নয়, তিনি বলেন, তিনি শুধুমাত্র দোষী শ্রেণির ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানাচ্ছেন। আজকের খবর পত্রিকার প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বুধবার (২২ অক্টোবর) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আযমী এই মন্তব্য করেন। তিনি জানিয়েছেন, তার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাতে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান বা বিভিন্ন বাহিনীর নেতারা মনে করেন, অন্যায় বা জুলুমের সাহস কেউ পাবে না। তিনি আরও বলছেন, সকল অপরাধীকে অবশ্যই বিচার পেতে হবে এবং তারা যেন সুবিচার পান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তবে এই বিচার প্রক্রিয়ায় যেন কোন জুলুম বা অবিচার না হয়; বরং যারা দোষী, তাদের পুরো বক্তব্য শুনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিত। আযমী বলেন, যারা কারো পরোয়া না করে অন্যায় করেছে, তারা যেন তাদের পাওনা পায় এবং সকলের প্রতি সুবিচার হয়, এটিই তার প্রত্যাশা।