নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কাদিবাড়ী গ্রামে ঘটে গেল এক ব্যতিক্রমী এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা, যা আবারও প্রমাণ করে যে সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো মারা যায় না। এই দম্পতির গল্প পুরো গ্রামে সবার কাছেই হৃদয় জয় করে নিয়েছে। তারা সারা জীবনের জন্য একসঙ্গে থাকতেন, 서로ের ছায়া হয়ে গল্পের মতো একজনের পর একজনের উপর অর্পিত হয়েছিলেন। তবে, গত শুক্রবার বিকেলে ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। ঐ দিন দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান স্বামী ও স্ত্রী, আঞ্জুয়ারা বেগম এবং মো. জলিলুর রহমান জলিল। তাদের এই দম্পতির মৃত্যুর মধ্যে শুধু প্রেমের গভীরতা নয়, বরং বোঝা যায় যে সত্যিকারের ভালবাসার জন্য যারা জীবন দিতেও প্রস্তুত, তার জন্য এই গল্প হয়ে উঠেছে অনুপ্রেরণার এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত।
জানা গেছে, আঞ্জুয়ারা বেগমের আকস্মিক মৃত্যু হয় হৃদরোগে ও পরিবারের সূত্রে জানা যায়, বিকেল থেকে তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকে। তাকে দ্রুত নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানেই রাত ১২টা ২৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আর এই নিয়ে মাত্র ১১ ঘণ্টা পার হতে না হতেই, তার স্বামী জলিল মাস্টারও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং একই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রাত ১২টার কিছু পর মারা যান।
একই পরিবারের এই দুই প্রিয়জনের আকস্মিক মৃত্যুতে পুরো গ্রাম স্তম্ভিত। তাদের দুই ছেলে এবং এক মেয়ের মধ্যে একজন রাকিবুল হাসান রকি তার শোক প্রকাশ করতে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। মা হঠাৎ মারা গেলেন, বাবা একটু অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর বাবা ভেঙে পড়লেন এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি শেষ হয়ে গেলেন।’
এই দম্পতির অবিচ্ছেদ্য ভালোবাসার গল্প এখন পুরো গ্রামে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। স্থানীয়রা বলছেন, জলিল মাস্টার ও আঞ্জুয়ারা বেগমের এই যুগল বিদায় প্রমাণ করল যে, সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো মরে না, বরং একসাথে পথচলার মাধ্যমে তার অমরত্ব রয়ে যায়। তাঁদের এই প্রেমের গল্প নতুন প্রজন্মের জন্য এক অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।


















