কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের সপ্তম গান ‘ক্যাফে’ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। এই গানটির মাধ্যমে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তানজির চৌধুরী তুহিনের কণ্ঠে জীবন্ত হয়েছে একটি সুন্দর ও আবেগময় সংগীতের সৃষ্টি, যেখানে ব্রাজিলিয়ান শিল্পী লিভিয়া মাতোস ও গৌরব চ্যাটার্জি গাবুর সুর এবং ছন্দের সংমিশ্রণ রয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকের সময়, কোক স্টুডিও বাংলার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে এই গানটি প্রকাশিত হয়। আর তখন থেকেই দর্শকরা এই গানটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন। তানজির তুহিনের কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ দর্শকরা রীতিমতো চমকে যান, যেন এক অন্য অনুভূতিতে0340 ডুবেছেন।
প্রায় পাঁচ মিনিট Fifty সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই গানটি শুধুই সুরের খেলা নয়, এটি হৃদয়গ্রাহী অনুভূতিও তুলে ধরে। যেখানে বাংলা ও লাতিন জ্যাজের অপূর্ব সংমিশ্রণ লক্ষ্যণীয়। শুভেন্দু দাস শুভর সংগীত আয়োজনের মাধ্যমে এফ্রো-কিউবান জ্যাজ, লাতিন সালসা এবং বাংলা পঙক্তির এক মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে, যা শোনার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।
বিষয়টি উল্লেখযোগ্য, এটি ওপার বাংলা থেকে জনপ্রিয় ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলির ‘আমার প্রিয়া ক্যাফে’ গানের রিমেক। এই রিমেকের মধ্যে গাবুর ছন্দ, অ্যাকর্ডিয়নের মাধ্যমে তোলা লিভিয়ার সুর এবং তানজির তুহিনের কণ্ঠের সম্মিলিত শক্তি গানটিকে এক অনন্য স্তরে পৌঁছে দিয়েছে। পুরো পরিবেশনা যেন এক ক্যাফের গল্পের মতো, যেখানে প্রতিটি সঙ্গীতের ছন্দে একেকটি স্মৃতি গাঁথা।
গানটি শোনা থেকে শুরু করে মন্তব্যে দর্শকরা আলাদা করে প্রশংসা করেছেন। প্রথমত, শিরোনামহীন এই গানটি এবং তানজির তুহিনের আগমনে তারা চমকে গেছেন। বেশ কয়েকজন মন্তব্যে বলেছেন, ‘আরে তুহিন ভাই!’, যা বোঝায় তার কণ্ঠের জনপ্রিয়তা এখনও অটুট।
বিশেষ করে লাতিন সুরে ভরা এই সংগীতের প্রশংসায় ভক্তরা বলেছেন, এটি তাদেরকে যেন আশির দশকের স্মৃতি ফিরে এনে দিয়েছে। একজনের মন্তব্য, ‘এইট্টিনএস’র নস্টালজিয়া ফিরে এল লাতিন ভাইবের সাথে।’
গানটির প্রকাশের পর, কোক স্টুডিও বাংলার অফিসিয়াল ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ‘এটি এক ক্যাফের মতো, যেখানে ছোট ছোট গল্পগুলো ধীরে ধীরে ভেসে যায়। এখানে চোখে চোখে কথাকাটাকাটি কম, বরং স্মৃতি ও অনুভূতির প্রকাশ ঘটে। ক্যাফে হলো সেই সময়ের গল্প, প্রতিটি টেবিল যেন একেকটি অধ্যায় – কখনও শুরু, কখনও শেষ, আবার কখনও নিঃশব্দ অপেক্ষায়।’


















