তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরলেও আগামী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তা আবারও সরকারের অধীনেই হবে বলে স্পষ্ট করলেন জামায়াতের বরেণ্য আইনজীবী শিশির মনির। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) হয় হওয়া প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের চার দিনব্যাপী শুনানির শেষ দিন তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
শুনানির শেষে শিশির মনির সংবাদ মাধ্যমে বললেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ধারণাটি এককভাবে এক অনন্য ও বিশেষ প্রকৃতির। তবে, দুরদর্শিতা ও ভবিষ্যদ্বাণীতির অভাবে এই ব্যবস্থা বাতিল হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আগে যে প্রক্রিয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়েছিল, তা মোটেও সঠিক ছিল না।’
প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য এক আবেদন মঞ্জুর করে আপিলের অনুমতি দেয়। এর ফলে, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে ২০১১ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত দিয়ে যা রায় দেওয়া হয়, তার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক পাল্টা পদক্ষেপ হয়।
এছাড়াও, সুপ্রিম কোর্টে এ মামলার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ারসহ আরও অনেক ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় দেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। এখন, এই রায়ের পুনর্বিবেচনায় যাচাই-বাছাই চলছে, যা আগামী দিনগুলোতে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রতিফলিত করবে।
আজকের খবর/ এমকে

















