সরকার ঘোষিত সময় অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে দেশের রাজনীতিতে নতুন নতুন রাজনৈতিক দল গঠন এবং আত্মপ্রকাশের ধারা বহমান। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি (বিইউপি) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ঢাকা শহরের জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর আহমেদ চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
বিইউপি গঠনের মূল লক্ষ্য হলো মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস সংরক্ষণ, যথাযথ মূল্যায়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। নবগঠিত এই দলটি ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেছে।
দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন জাকির হোসেন প্রধানিয়া। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই দলের মূল লক্ষ্য হলো মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশপ্রেমের বৈশিষ্ট্য রক্ষা করা, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের অধিকার সংরক্ষণ, অর্থনৈতিক ভারসাম্য সৃষ্টি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং এক উন্নত, আধুনিক বাংলাদেশের রূপ গড়ে তোলা।
দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো হলো:
১. ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস সংরক্ষণ ও যথাযথ মূল্যায়ন।
২. মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ ও আহতদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা প্রদান।
৩. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও আধুনিক বিচারালয় গড়ে তোলা।
৪. দেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে ধারণ করে নিজস্ব জাতীয়তা বিকশিত করা।
৫. দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে অটুট থাকা।
৬. প্রকৃত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চর্চা গ্রহণ ও প্রতিষ্ঠা।
৭. মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও ধর্মের সমমর্যাদা নিশ্চিত করা।
৮. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূরীকরণ।
৯. আধুনিক প্রযুক্তি অবলম্বনে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
১০. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন।
১১. নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো ও তাদের অধিকার সংরক্ষণ।
১২. পরিবেশের সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখা।
১৩. যুব সমাজের সৃজনশীলতা ও কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বাড়ানো।
১৪. প্রবাসী নিরাপত্তা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
১৫. শক্তিশালী ও স্বার্থান্বেষী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ।
১৬. দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া।
১৭. গণমাধ্যমের স্বাধিকার ও সাংবাদিকের অধিকার রক্ষা।
১৮. কৃষক ও শ্রমিকের কল্যাণে কাজ করা ও তাদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করা।
এই নতুন দলে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন আমেজ সৃষ্টি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সকলের দৃষ্টি এখন এই দলের কার্যক্রম ও ভূমিকায় কেন্দ্রীভূত হবে।


















