প্রধানত শীতের আবহাওয়ার পুরোপুরি আসার আগে না হলেও ইতিমধ্যেই বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এর ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে এবং ক্রেতাদের মনোভাবেও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ডিমের দামেরও স্বস্তি এসেছে, অনেক এলাকাতেই দাম কমে এসেছে। তবে তেল, চিনি ও লবণের দামে এখনো খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি।
বিক্রেতারা বলছেন, লাভের আশায় অধিক কৃষক এখন আগাম শীতকালীন সবজি চাষে মনোযোগ দিচ্ছেন। আবহাওয়ার অনুকূল পরিস্থিতির কারণে ফলনও বেশ ভালো হয়েছে, যার ফলে বাজারে বিভিন্ন রকমের শীতের সবজির আপাতত সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কমেছে।
রাজধানীর তালতলা, মালিবাগ ও সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শিমের কেজি মূল্য ১২০-১৪০ টাকা, মুলা ৬০-৮০ টাকা, আর ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিভিন্ন মানভেদে ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এগুলোর আকার ছোট হলেও বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমে আসছে। লাউয়ের দামও প্রতিটি ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে, আকার ও মানের ওপর ভিত্তি করে।
ক্রেতারা বলছেন, যদিও এই সবজিগুলোর কিছুটা দাম বেশি, তবে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দামের ধরনে কিছুটা শান্তি এসেছে। কয়েক মাস ধরে যে দাম সম্পর্কিত ঝামেলা থাকছিল, এখন তা কিছুটা কমে আসছে।
এনামুল হোসেন নামে একজন ক্রেতা বললেন, নতুন সবজি কিনতে গেলে কিছুটা বেশি খরচ হলেও এখন দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কমে এসেছে। তিনি বলেন, আগে শিমের দাম ছিল ২০০ টাকা কেজি, এখন ১২০ টাকা। মুলা ও কপি’র দামও প্রায় ২০ টাকা কমে গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এখন শীতের সবজি। শীতকাল যত এগোবে, ততই এই সবজির পাশাপাশি অন্যান্য সবজির দামেরও কমতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এইসব সবজির সরবরাহ আরও বাড়বে বলে জানা গেছে।
এছাড়া, গরমের মৌসুমের কিছু নিষ্প্রাণ সবজির দামও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। উদাহরণসরূপ, মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি লম্বা বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়, যেখানে সপ্তাহখানেক আগেও এটির দামে ছিল ১৫০ টাকা। এছাড়া চিচিঙ্গা, করলা, ঝিঙ্গা, ধুন্দল, পটল আবার বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকার মধ্যে, পেপে ৩০-৩৫ টাকা। তবে বরবটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
আলু ও পেঁয়াজের দামও প্রতি কেজি জনপ্রতি ২৫-৩০ টাকা ও ৬০-৮০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
বাজারে ডিমের দামও কিছুটা শান্তি পেয়েছে। হঠাৎ করে ডিমের দাম বাড়লেও এখন তা কমতে শুরু করেছে; কিছুদিন আগে যেখানে ডজন প্রতি ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল, এখন সেটা আবার ১৪০ টাকায় নেমে এসেছে। তবে কিছু পাড়ার দোকানে এখনও ১৫০ টাকা দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭০-১৮০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। মুদি পণ্যের বাজারে তেল, চিনি, লবণের দামের পরিবর্তন খুবই কম। যে কারণে এই খাতেও তেমন কোনো বড় পরিবর্তন দেখা যায়নি।


















