আজ থেকে শেষ হয়ে যাচ্ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম। এই কমিশনটি ছয় মাসের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে গঠন করা হয়েছিল। এটি গঠনের সময় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ সহ শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন বোর্ডের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তাদের মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মনির হায়দার রয়েছিলেন।
প্রথমে এই কমিশনের জন্য ছয় মাসের সময় নির্ধারিত ছিল, যা গত ১৫ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা। তবে, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারমূলক কাজের কারণে বর্তমানে এটি একাধিক দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ১৫ দিন মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে তারা নির্বাচন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান এবং দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত নানা সংস্কারের জন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে। এই আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণা ও জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ প্রস্তুত করা হয়, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করেছেন। তবে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনও সই করেনি। এমনকি ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত এই কার্যক্রমের ওপর সংলাপ ও সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অৰ্পলি, এই কমিশনের মাধ্যমে গৃহীত পদক্ষেপগুলো দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। আজকের দিনটি তাই বিশেষ গুরুত্বের পাশাপাশি এক সফল সমাপ্তির মুহূর্ত।
 
	    	


















