নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নতুন তালিকায় ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত হওয়ার পরে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা ‘শাপলা কলি’ নয়, বরং শুধুমাত্র ‘শাপলা’ প্রতীকই চায়। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইসির প্রতীকের তালিকায় ‘শাপলা কলি’ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা। তিনি বলেন, “আমরা ‘শাপলা কলি’ চাই না, শুধুমাত্র ‘শাপলা’ প্রতীক আমাদের প্রাথ্য। আগে ইসি জানিয়েছিল যে ‘শাপলা কলি’ অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়, কিন্তু এখন যদি এ প্রতীক তালিকায় স্থান পায়, তবে তারা শাপলার অন্যান্য রূপও অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। তবে আমরা কলি নয়, শুধু ‘শাপলা’ প্রতীককেই স্বীকৃতি দিতে চাই। অন্য কোনো বিকল্প আমাদের ভাবনা নেই।” আজ দুপুরে ইসি ‘শাপলা কলি’ প্রতীকসহ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যেখানে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এই প্রজ্ঞাপন স্বাক্ষর করেছেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৯৭২ সালের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ‘নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮’-এর বিভিন্ন দফতর সংশোধন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখ করা হয়, বিধিমালা ৯ এর উপ-বিধি (১) এর পরিবর্তে নতুন উপ-বিধি স্থাপন করা হয়েছে, যাতে বলা হয়, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার প্রতীকের জন্য নির্দিষ্ট দেওয়া তালিকা থেকে যেকোনো একটি প্রতীক পেতে পারে, তবে ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া অন্য কোনো প্রতীক তারা পেতে চাইলে সেটিও বিবেচনা করা হবে। এর আগে, ২৭ অক্টোবর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছিলেন, ‘শাপলা’ প্রতীক না থাকায় এনসিপিকে তা দেওয়া সম্ভব নয়, বরং অন্য একটি প্রতীক বরাদ্দ করা হবে এবং পরে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এই বছর ফেব্রুয়ারিতে, দেশের প্রথম আলোচিত দল এনসিপি ঘোষণা করে যে, তারা ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নিবন্ধন নেবে না এবং এই প্রতীকেই তাদের মূল পরিচিতি। তবে এখনো এনসিপি ‘শাপলা’ প্রতীকেই অটল থাকছে এবং ‘শাপলা কলি’ নিয়ে সন্তুষ্ট নয়।


















