মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম শরণার্থী কোটা ঘোষণা করেছেন, যেখানে শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, 2026 অর্থবছরে মাত্র 7,500 জন শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এই কোটা 2025 সালের অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে 2026 সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
৩১ অক্টোবর প্রকাশিত এক প্রেসনথিতে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই সীমিত সংখ্যক শরণার্থী কোটা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এরা নিজ দেশে বৈষম্য ও অবিচার থেকে মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসার অধিকার পেয়েছে। তবে এই দावेাকে অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য দাবি বলে প্রত্যাখ্যান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এবং আফ্রিকার অন্যান্য নেতারা।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের রিফিউজি রিসেটেলমেন্ট অফিস শরণার্থী পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করবে, যেখানে অনেক বেসরকারি সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনের দায়িত্ব এড়িয়ে নেওয়া হবে। এসব পদক্ষেপের ফলে, সাবেক প্রশাসনের তুলনায় এই কোটা অনেক কম হয়েছে। যেখানে বাইডেনের নেতৃত্বে 125,000 শরণার্থী প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হত, সেখানে ট্রাম্পের এই সীমা 10 শতাংশেরও কম।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করে ট্রাম্প শরণার্থী ও অভিবাসন নীতিকে আরো কঠোর করে তুলেছেন। তবে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের প্রতি বিশেষ দয়া প্রকাশ করেছেন।
১৯৮০ সালে কংগ্রেসের অনুমোদিত রিফিউজি অ্যাক্ট-১৯৮০ অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী গ্রহণের প্রক্রিয়া চালু হয়। এই আইনের পর, ট্রাম্প প্রশাসন সবচেয়ে কম সংখ্যক শরণার্থী গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অ্যাক্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রতি অর্থবছরে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যার সীমা নির্ধারণ করতে পারেন, তবে কোনো ন্যূনতম সীমা নির্ধারিত নয়।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে, এটি বর্ণবাদী ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রাইকলিন-মেলনিক বলেছেন, এই নীতি মানবিক কর্মসূচিকে শ্বেতাঙ্গ অভিবাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক শরণার্থী সহায়তা সংস্থা (আইআরএপি) অভিযোগ করেছে যে, ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্তে কংগ্রেসের সঙ্গে পরামর্শ না করে একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ৪ কোটি ২৭ লাখের বেশি শরণার্থী বাস করছে বলে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে।
 
	    	


















