গাজা উপত্যকায় আবারও ভয়াবহ বিমান ও কামান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার ভোরে শুরু হওয়া এই হামলায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে অন্তত দশটি স্থানে বিমান হামলা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে। একই সময়ে গাজা নগরীর পূর্ব প্রান্তেও ভারী কামান হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের পূর্বাংশে বেশ কিছু ভবন ধ্বংস করে ফেলেছে। এই হামলার পর এখন পর্যন্ত হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। ২৮ অক্টোবর রাফায় এক ইসরায়েলি সেনার নিহতের ঘটনায় উত্তেজনা বাড়েন, এরপরই এই হামলা শুরু হয়। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় কঠোর ও দ্রুত পাল্টাহামলার নির্দেশ দেন। গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগ জানিয়েছে, গাজা নগরী, খান ইউনিসসহ আশপাশের এলাকায় বোমা বা গোলাবর্ষণ থেকে এখন পর্যন্ত ডজনখানেক মানুষ নিহত হয়েছেন। হামাস দাবি করেছে, তারা এই হামলায় জড়িত নয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কার্যকর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে শুরু হওয়া নতুন এই হামলার ফলে এখন পর্যন্ত ১০৪ জন নিহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৪৬ শিশু ও ২০ নারী রয়েছেন, এবং আহতের সংখ্যা ২৫৩। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে মোট ২১১ জন নিহত ও ৫৯৭ জন আহত হয়েছেন। এদিকে, হামাসের শাখা সংগঠন আল-কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে তারা দুই ইসরায়েলি বন্দির মৃতদেহ হস্তান্তর করবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনিরা তাদের বন্দি ছাড়বে, পাশাপাশি সেনা অভিযান বন্ধ ও গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হবে। সূত্র: শাফাক নিউজ
 
	    	


















