কয়েক সপ্তাহ আগের তুলনায় এখন বাজারে সবজির দাম অনেকটাই কমে গেছে। বিশেষ করে শীতের শুরুতে আনুমানিকভাবে আগাম সবজি আসার ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কেজিপ্রতি দাম অনেকটাই কমেছে। এর ফলে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে সস্তায় সবজি কিনে স্বস্তি ফিরেছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা করে কমেছে।
উদাহরণ হিসাবে, অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের আগাম শিম, যা এখন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি, ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখন প্রতিটি পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য সবজির মধ্যে আলু কেজিতে ২০ টাকা, পেঁপে ও কচুর মুখি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল, ঢ্যাঁড়স ও চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, আর মুলা ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লম্বা বেগুন, করলা, বরবটি ও কচুর লতি বর্তমানে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দামও কমে ১০০ টাকার মধ্যে এসেছে, তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে একটু বেশি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রামপুরা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সুজন মোহাম্মদ বলেন, এখন সবজির দাম নিয়ে ক্রেতাদের উদ্বেগ নেই, কারণ শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে। এখানকার বাজারে এই মুহূর্তে সব ধরনের সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
এদিকে, ইলিশ মাছের বাজারে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন সূচনার খবর এসেছে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে এ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো আবার ইলিশ মাছ বাজারে আসা শুরু হয়েছে। তবে এখনও এই মাছের দাম চড়া রয়েছে। ছোট ইলিশের দাম এখন ৮০০ টাকা কেজি, আবার ৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকায়। বাজারে অন্যান্য মাছের মূল্যের তুলনাও আগের মতোই চড়া অবস্থায় রয়েছে।
ডিম ও মুরগির বাজারেও সুসময় ফিরে আসছে। গত সপ্তাহে ডিমের দাম কিছুটা কমে ডজনপ্রতি ১৩০ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা কয়েক সপ্তাহ আগে ১৪০ টাকায় বিক্রি হত। পাড়া-মহল্লার দোকানে এখনও ডিমের দাম ১৪০ টাকায় থাকলেও বড় বাজারে এই দাম কমে গেছে।
ব্রয়লার মুরগির কেজি এখন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে আরও বেশি ছিল। তবে প্রিমিয়াম সোনালি জাতের মুরগির দাম এখনও ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় রয়ে গেছে। এর পাশাপাশি গরুর মাংসের দামও আগের মতোই, প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের বাজারে এখন নিয়ন্ত্রণ এসেছে, এখন দেশি পেঁয়াজ কিনতে পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। রসুনের দরও কমে এসেছে, এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়।
মসুর ডালের দামও নিয়ন্ত্রণে, দেশি মসুর ডালের দাম ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় থাকলেও আমদানি করা মসুর ডাল কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির বাজারেও কিছু ইতিবাচক খবরে মিলছে, এখন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায়। তবে ভোজ্যতেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সারসংক্ষেপে, শীতের আগাম সবজি, ডিম ও মুরগির সরবরাহ বৃদ্ধি এবং দাম কমে আসায় সাধারণ কেনাকাটায় অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। বাজারে এখন সব ধরনের পণ্য সহজলভ্য ও দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।
 
	    	


















