বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অনুসন্ধানের জন্য জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’এর চূড়ান্ত পর্বের অডিশনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিযোগীরা সবগুলো রাউন্ড শেষ করে এখন চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে, যা শুরু হবে ১ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এই পর্বে উত্তীর্ণ প্রতিযোগীদের কমপক্ষে তিনটি নতুন পরিবেশনা প্রস্তুত রাখতে হতে পারে।
চূড়ান্ত পর্বের আগের দিন, ৩০ অক্টোবর, বিটিভিতে প্রতিযোগীদের গ্রুমিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক ও শিল্পীরা তাদের পারফরম্যান্স, উপস্থাপনা ও মঞ্চে নৈপুণ্য আরও উন্নত করার জন্য দিকনির্দেশনা দেন। মূল পর্বের জন্য প্রস্তুতির সুবিধার্থে, ভরাদিনের আগের দিন, অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর, আরেকটি গ্রুমিং সেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। তবে, প্রতিযোগীদের অনুশীলন সুবিধা ও অভিভাবকদের অনুরোধে সেটি একদিনেই সম্পন্ন করা হয়, বলে জানিয়েছেন বিটিভি কর্তৃপক্ষ।
চূড়ান্ত পর্বের স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রের রামপুরা, যেখানে অনুষ্ঠিত হবে এই জয়জয়কার অনুষ্ঠান। ‘সেরা দশ’ পর্বের প্রতিটি বিভাগের শীর্ষ পাঁচজন প্রতিযোগী ফাইনালে অংশগ্রহণ করবে। তবে, যদি একাধিক প্রতিযোগীর নম্বর এক হয়, তাহলে সবাই সুযোগ পাবে এই রাউন্ডে অংশ নেওয়ার।
ফাইনালের ফলাফল বিটিভির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.btv.gov.bd) প্রকাশিত হবে। এছাড়া, উত্তীর্ণ প্রতিযোগীদের মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ফাইনালের তারিখ জানানো হবে।
অডিশনের দিন, প্রতিযোগীদের অবশ্যই ‘ইয়েস কার্ড’ সঙ্গে আনতে হবে। বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে দেখা যাবে, পাশাপাশি টেলিভিশনের স্ক্রলের মাধ্যমে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাছাই করা প্রতিভাবান শিশু-কিশোররা ইতোমধ্যে সব রাউন্ড সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। তারা এবার নানা বিভাগে—সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, গল্প বলা, কৌতুক ও অভিনয়ে—নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স উপস্থাপন করে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য লড়াই করছে।
ফাইনালের বিভিন্ন বিভাগের অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিশেষ সময়সূচি অনুযায়ী সম্প্রচারিত হবে। দর্শকরা এই সময়ে দেশের উদীয়মান শিল্পীদের সৃজনশীলতা ও প্রতিভা উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও, অনুষ্ঠানগুলো বিটিভির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাবে।
প্রসঙ্গত, নতুন প্রজন্মের মেধা বিকাশ ও সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়াতে ‘নতুন কুঁড়ি’ দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এবারের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এটি নতুন প্রজন্মের মেধা ও মনন বিকাশে এক অনুপ্রেরণামূলক মঞ্চ হবে।
 
	    	


















