বাংলাদেশের জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফুল আলম, পরিচিতি হিরো আলম, আবারও সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তার লক্ষ্য তার নিজ অঞ্চলের জন্য কিছু করার এবং দেশের উন্নয়নের জন্য রাজনীতিতে প্রবেশ করা। বেশ কয়েকবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি আলোচনায় এসেছেন। এবার তিনি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের ১৭ নম্বর নির্বাচনী জেলায় সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করেছেন।
ঢাকা-১৭ আসনটি গঠিত হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে—ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বনানী, বারিধারা, মহাখালী ও মিরপুরের কিছু অংশ। এই আসনে মোট নির্বাচনী ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০২৫ জন। এই আসনটিতে আগে থেকেই বেশ কিছু প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি – বিজেপি থেকে নির্বাচিত প্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থ। এছাড়াও জামায়াতে ইসলামি, ন্যাশনাল সাপোর্ট পার্টি (এনসিপি) এবং অন্যান্য দলগুলোও এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তবে হিরো আলম এখন নিশ্চিত আছেন তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। হিরো আলমের ভাষায়, আনুষ্ঠানিকভাবে অনেক দল তার সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং তিনি পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন।
নিজেকে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে তিনি বলেছেন, ‘আমি সংসদে যেতে চাই গরিব, প্রান্তিক ও অবহেলিত মানুষের জন্য। আমি বিশ্বাস করছি, এই দেশের প্রকৃত শক্তি সেই শ্রমশীল মানুষগুলোর মধ্যে, যারা প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তারা উপেক্ষিত হয় রাষ্ট্রের সেবাদানে। আমি চাই আমি তাদের স্বার্থে কাজ করবো, তাদের জন্য মাঠে থাকবো।’
হিরো আলম আরও বলেছেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়া শুধু জয়ের আগ্রহ নয়, এটি একটি প্রতিবাদের মাধ্যমও। দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনি সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাবেন। তিনি বলেন, “আমি চাই মানুষ উৎসবের মতো ভোটদান করুক, ভোট প্রদানে প্রিয়তা আসুক। আমি চাই, সবাই নির্বিঘ্নে বোধমতো ভোট দিতে পারুক। যদি আমি ১০০ ভোট পাই, তাতেও আমার অসুবিধা নেই। আমি চাই সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচন।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দলগুলো যে প্রস্তাব দিচ্ছে, সেগুলো তিনি বিবেচনা করছেন। যদি তাঁদের সঙ্গে একমত হন, দাঁড়াবো সেই দলের জন্য; না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই দাঁড়াবো।
প্রতিনিধিত্বের জন্য তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই দেশের প্রকৃত শক্তির ক্ষমতা তাদের হাতে—গরিব, প্রান্তিক ও অবহেলিত মানুষদের হাতে। আমি ওই সব মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, যারা দিনরাত পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমি চাই, তাদের সেবা করতে। রাজনীতি তাদের জন্য হওয়া উচিত, যারা এখনো ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।’
গৃহণযোগ্যতার জন্য হিরো আলম নিজেকে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই, সেই সব মানুষ যারা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখে, তাদের জন্য আমি কাজ করতে চাই। আমার লক্ষ্য হচ্ছে, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। দেশের উন্নয়ন ও সামগ্রিক সমৃদ্ধি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নেওয়াই আমার লক্ষ্য।’


















