আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে তিনি শেষ নির্বাচন বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নিজ পরিবারের আমার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন। এবারে তিনি জানান, এই নির্বাচন তার শেষ নাটকীয় নির্বাচন। যারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন কিন্তু পাননি, তাঁদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ, দল আপনাদের যথোপযুক্ত মূল্যায়ন ও সম্মান প্রদান করবে। তিনি সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা সবাই আমার জন্য, এবং আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দোয়া করবেন। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
পোস্টের শুরুর দিকে মির্জা ফখরুল বলেন, মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে। আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, দলের অন্যান্য নেতা ও নেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করছি। দলের সকল কর্মীকে আমি জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা অসীম ধৈর্য্য ও সহযোগিতার জন্য।
একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের নানা স্মৃতি ও গল্প তিনি শেয়ার করেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, আজ থেকে অনেক বছর আগে ১৯৮৭ সালে তিনি সিদ্ধান্ত নেন 다시 রাজনীতিতে ফিরে আসবেন। তখন তার মেয়ে দুটো ছিলো ছোট, ঢাকায় পড়াশোনা করছিলো। তার স্ত্রীর বয়সও খুব কম ছিল। প্রথম প্রথম স্তম্ভিত হয়েছিলেন, বুঝতে পারছিলেন না কীভাবে এই অনিশ্চিত জীবনযাত্রার মুখোমুখি হতে হবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেন, তার বড় মেয়ের অপারেশনের সময়, তিনি সারা রাত গাড়িতে থাকেনিয়েছিলাম যাতে তার পাশে থাকতে পারেন। তখন কষ্টের সময়গুলো অজস্র। আজকের এই গল্পগুলো নতুন নয়; এইরকম অসংখ্য নেতাকর্মীর জীবনে চলমান কষ্ট আর সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি তিনি তুলে ধরেন।
এই আবেগী ও সংকটপূর্ণ স্মৃতিগুলো আমাদের সবাইকে মনে করিয়ে দেয়, রাজনীতি ও সংগ্রামের স্বরূপ কতটা ত্যাগের বিষয়। রাষ্ট্রের জন্য আজীবন লড়াইয়ে অংশ নেওয়া এই নেতার গল্পের মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারি, প্রত্যেকের জীবনে যে সংগ্রাম, তা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি।
	    	
















