আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চেয়ারম্যান আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনের কোন প্রকার অনিয়ম বা ব্যত্যয় ঘটানোর চেষ্টা করলে তাদের জন্য কঠোর সতর্কতা ও শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে। এই ঘোষণা দেন তিনি মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায়।
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে আমরা কোনও ধরনের পক্ষপাতন্তরণ বা পক্ষপাতিত্ব আশা করি না। নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের তালিকা তফসিল ঘোষণার অন্তত ১০ দিন আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। মানসম্পন্ন ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের প্রয়োজন, তাই মানহীন বা অপূর্ণতার আশঙ্কা থাকা পর্যবেক্ষকদের অনুমোদন দেওয়া হবে না। পাশাপাশি, বিদেশি নাগরিকরা শুধু দেশীয় সংস্থার হয়ে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। নিজের দেশীয় আইন ও বিধি অনুসারে তারা আবেদন করে পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগদান করবেন।
অতি গুরুত্বপূর্ণ এই দায়িত্ব পালনকালে, পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনের প্রথম দিন, ভোটগ্রহণের দিন এবং ফলাফল ঘোষণার দিন— এ তিনদিন তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও, কোনো জাল বা ভুয়া পর্যবেক্ষক চিহ্নিত করতে, নির্বাচন কমিশন এবার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্রে ব্যবহৃত হবে কিউআর কোড (QR Code), যা জালিয়াতি ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইসি চেয়ারম্যান আরও জানান, নির্বাচনকালীন সময়ে পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব পালন করবে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে, যাতে নির্বাচন আরও স্বচ্ছ, উত্তম ও বিশ্বাসযোগ্য হয়। এ সময় তিনি পর্যবেক্ষকদের অজুহাতে অনিয়ম বা পক্ষপাতিত্ব থেকে এড়ানোর জন্য সতর্ক করেন এবং সত্যিকারের মানসম্পন্ন পর্যবেক্ষণের ওপর জোর দেন।
সংক্ষেপে, সানাউল্লাহ বলছেন, এই নির্বাচন হবে সবচেয়ে পরিষ্কার, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ, যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।


















